
স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদাদাবী, প্রকাশ্যে লুটপাট ও দোকান দখলের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্দেগ্যে মানববন্ধন হয়েছে । নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এওজবালিয়া ইউপি সভাপতি ক্বারী আতিক উল্যাহ এর কাছে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে তাঁর নির্মাণাধীন দোকান ঘরে ভাংচুর ও দিবালোকে নির্মাণ সামগ্রী লুটের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে । জমিদার হাট বাজারে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় মানববন্ধন অুনষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ক্বারী আতিক উল্যাহ এর ছেলে মাও. মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় জমিদার হাট বাজারের পশ্চিম পাশে রাইস মিলস্ সংলগ্ন আমদের খরিদকৃত দীর্ঘ ৪০ বছরের দখলীয় সম্পত্তিতে সম্প্রতি আমি দোকান ঘর নির্মানের কাজ শুরু করি। গত ০৫ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় এওজবালিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মহিন উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন লিটন, আবদুল গনি বাবু, ওমর ফারুক মিলন, নছির আহমেদ ও জোবায়ের হোসেন নাঈমের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার নির্মানাধীন দোকান ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তারা আমার নির্মান কাজে বাধা দিয়ে আমার নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার সম্পত্তিতে কাজ করতে দিবে না হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। পরে া সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুনরায় আমার কাজ বন্ধ করে দেয় এবং আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। সোমবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে আমার নির্মাণাধীন দোকান ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে দোকান ঘর নির্মাণের সামগ্রী প্রকাশ্যে লুট করে নিয়ে যায়! এবং দোকান ভিটি দখলের চেষ্টা করে।
মানববন্ধনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী সদর থানা সভাপতি মুহা. আবদুল মুকিত বলেন, ‘৭১ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় ছিল বৈষম্য দূর করতে পারেননি। না পারার কারণে ২৪ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে ফ্যাসিস্টকে তাড়ানো হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, চাঁদাবাজি, জুলুম, অত্যাচার, অবিচার থাকবে না। মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর দেখলাম আবারও সেই চাঁদাবাজি ও জুলুম। এত দিন চাঁদাবাজি ও গুন্ডামি করতো একজন এখন করছে অন্যজন।
জেলা ইসলামী আন্দোলন এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী এইচ. এম কাউছার আহমাদ বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য বলেন, অভিযোগকৃত সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত দল থেকে বহিষ্কার করে জনগণকে সন্ত্রাসের ত্রাস থেকে বাঁচান।নতুবা জনগণ আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না! এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্ঠা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।